Header ads

Header ADS

ইউটিউব ফেয়ার ইউজ এবং কিছু ভুল ধারণা!!!



ইউটিউব ফেয়ার ইউজ এবং কিছু ভুল ধারণা!!!
ধারণা ১: আমি মুল মালিককে কপিরাইটের ক্রেডিট দিয়েছি, সুতরাং এটি ফেয়ার ইউজ।
ব্যাখ্যা : কোন চ্যানেল থেকে কোন ভিডিও নিয়ে কিছুটা পরিবর্তন পরিবর্ধন করে ব্যবহার করার সময়ই মুলত ফেয়ার ইউজের বিষয়টা আসে। মালিককে কপিরাইটের ক্রেডিট দিলে তার কোন প্রকার লাভ হয়না বিধায় এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল একটি ধারণা। ধরুন লিখে দিলাম “all rights go to the author” অথবা "I do not own" এ ধরণের কোন লাইন লিখলেই মালিকের কিছু যায় আসেনা কিংবা এটি মুল মালিকের কপিরাইট পারমিশন দেয়াকে প্রতিষ্ঠিত করেনা। তাই ক্রেডিটের ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল একটি ধারণা।
ধারণা ২: ভিডিওতে একটি ডিসক্লেইমার দিয়েছি, সুতরাং ফেয়ার ইউজ।
ব্যাখ্যা : আগের কথাই এখানে প্রযোজ্য। যেহেতু এই ডিসক্লেইমার মুল মালিকের জন্য কোন গুরুত্ব বহন করেনা সুতরাং এটি ফেয়ার ইউজ সম্পর্কিত একটি ভুল ধারণা মাত্র।
ধারণা ৩: শুধু মাত্র এন্টারটেইনমেন্ট বা নন-প্রফিট হিসেবে ব্যবহার করছি, তাই এটি ফেয়ার ইউজ।
ব্যাখ্যা : এই অংশটি একটু জটিল। ষ্ট্রাইকের কাউন্টার নোটিফিকেশনে গেলে আদালত খুব ভালোভাবে আপনার ব্যবহারকে পর্যবেক্ষণ করবে। সেই ক্ষেত্রে আপনার উপরের দুটো ধারণা কাজে দেবে। সেগুলো দেয়া থাকলে যুক্তি-তর্কে আপনি এগিয়ে থাকবেন। তবে শুধুমাত্র এন্টারটেইনমেন্ট বা নন-প্রফিট হিসেবে ঘোষনা দিলেই আপনি ষ্ট্রাইক থেকে বাঁচতে পারবেন না। যদিও আদালত পর্যন্ত কোন বিষয় গড়ানো আমাদের দেশে সাধারণত ঘটেনা, কিন্তু সামনে এ বিষয়ে প্রফেশনাল আইনজীবিও পাওয়া যাবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই এই ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। আমার কথা স্বপক্ষে ইউটিউবের অফিশিয়াল পেজ থেকে একটা লাইন তুলে দিলাম “Courts analyze potential fair uses according to the facts of each specific case. You’ll probably want to get legal advice from an expert before uploading videos that contain copyright-protected material.”
ধারণা ৪ : আমরা নিজের কাজের সাথে অন্যের কিছু ফুটেজ লাগিয়েছি, এটাতো ফেয়ার ইউজই।
ব্যাখ্যা : আপনি যদি আপনার কাজের সাথে সামান্য কিছুও অন্যের ফুটেজ ব্যবহার করে থাকেন সেটি ফেয়ার ইউজের বিরুদ্ধে ক্লেইমের ক্ষেত্রে আপনাকে বাঁচাতে পারবেনা, যদিনা আপনার কাজটি নতুন কোন ধারণা বা সম্পূর্ণ নতুন কোন কিছু তৈরী করতে না পারে, হতে পারে সেটি নতুন কোন ম্যাসেজ বা নতুন কোন শিক্ষা । অনেকেই ৩০ সেকেন্ডের যে বিষয়টি নিয়ে ধারণা করে বসে আছেন তারা আগের লাইনটি ভালোভাবে পড়ে নেবেন। এই ব্যাখ্যার উদাহরণ: রোষ্টিং ভিডিও ফেয়ার ইউজের আওতায় পড়বে কারণ তা নতুন একটি বিষয় সৃষ্টি করে, তবে রোষ্টিং করতে গিয়ে একজন নন-ইউটিবারের কাছ থেকে মানে যার ইমেজ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তার কাছ থেকে আর্ন্তজাতিক আদালতের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে সাজাও পেতে পারেন।
শেষকথা: কোন কিছু ফেয়ার ইউজ হয়েছে কিনা তা ইউটিউব নির্ধারণ করার কোন কর্তৃপক্ষ নয়। এটা আদালতের এখতিয়ার। তবে আর্ন্তজাতিক আইন-অনুসারে উপরের চারটি ধারণাকে আদালত খুঁটিয়ে ভালোভাবে দেখবে। যদি আপনি সত্যিকারে উপরের চারটি অপশনের সঠিক ব্যবহার করে থাকেন তাহলে মামলায় জিতে যাবেন। তাই এখন থেকে কতটুকু ব্যবহার করলে ষ্ট্রাইক পেতে পারি বা কিভাবে চুরি করবো কিন্তু ষ্ট্রাইক এড়িয়ে থাকতে পারি এ প্রশ্নগুলো নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের কাজ করুন। কারো কিছুতে হাত দেয়ার আগে কপিরাইট ক্লেইম, ষ্ট্রাইক, ব্লক, ক্রিয়েটিভ কমনস, ফেয়ার ইউজ এ বিষয়গুলো জেনে কাজ শুরু করুন। অনেকেই বলেন আমি কিছুই করিনি কিন্তু চ্যানেলে ষ্ট্রাইক পেয়েছি, তাদের জন্য একটু চিন্তার খোরাক যোগানো হলো। উপরের দেয়া তথ্যগুলো শুধু বঙ্গানুবাদ মাত্র।
হ্যাপি ইউটিউবিং।

No comments

Powered by Blogger.